আত্মজ্ঞান Meaning in Bengali
পরমাত্মার বিষয়ে জ্ঞান।
এমন আরো কিছু শব্দ
আত্মজ্ঞআত্মজা
আত্মজ
আত্মচিন্তা
আত্মঘাতি
আত্মগ্লানি
আত্মগৌরব
আত্মগোপণ
আত্মগর্বী
আত্মগরিমা
আত্মগত
আত্মকৃত
আত্মকলহ
আত্ম
আত্ত
আত্মজ্ঞান এর ব্যাবহার ও উদাহরণ
কর্মযোগ হল সেই যোগ যা হৃদয়কে শুদ্ধ করে এবং আত্মজ্ঞান লাভের পথে অন্তঃকরণকে তৈরি করে ।
কেনোপনিষদের শেষ ছত্রগুলোতে নৈতিক জীবনকেই আত্মজ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞানের ভিত্তিপ্রস্তর বলে বর্ণনা করা হয়েছে ।
এই অবস্থায় ব্যক্তি আত্মজ্ঞান লাভ করে ।
তাঁর মতে, ঈশোপনিষদ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে “আত্মজ্ঞান ও তার চিরন্তন, সর্বব্যাপী প্রকৃতি”কে এড়িয়ে চলা “নিজ আত্মাকে হত্যা”র ।
জন্ম-মরণ-বন্ধন ছেদের কথা, ৩২ নং গানে বাহ্য উপকরণ ও জপতপের পরিবর্তে সাধকের সহজপন্থী আত্মজ্ঞান লাভের কথা, ৩৮ ও ৩৯ নং গানে সাধকের পক্ষে গুরুর উপর নির্ভর শীলতা ও সহজ পথ ।
কেন উপনিষদের শেষ পংক্তিগুলিতে বলা হয়েছে, নৈতিক জীবন আত্মজ্ঞান ও আত্মব্রহ্মজ্ঞানের ভিত্তিস্বরূপ ।
আশ্রমোপনিষদ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক শাখা সন্ন্যাসীরা মুক্তির জন্য আত্মজ্ঞান লাভ করতে চান ।
মার্কণ্ডেয় পুরাণের মতে, পূর্বতন কর্মের বন্ধন থেকে মুক্তিলাভ করতে এবং আত্মজ্ঞান ও মোক্ষ লাভ করতে এই দর্শনই হল পথ ।
জ্ঞানস্বরূপ", "সর্বমানবের অভ্যন্তরস্থ নির্ভীক, জ্যোতিস্বরূপ, শুদ্ধ ও মুক্ত আত্মজ্ঞান", "আধ্যাত্মিক মুক্তি ও স্বনির্ভরতার সার", "সর্বজীবের অন্তর্বিশ্ব ও বহির্বিশ্ব" ।
উপনিষদের মতে, “আত্মার অস্তিত্ব রয়েছে” এবং এই উপনিষদ্ “পরমানন্দ-স্বরূপ আত্মজ্ঞান অনুসন্ধানে”র শিক্ষা দেয় ।
সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে, শ্রুতি গ্রন্থে আত্মজ্ঞান অর্জনকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।
ধর্মশাস্ত্র) ব্রহ্মজ্ঞান ও আত্মজ্ঞান লাভের উপায় হিসেবে সন্ন্যাসের বিধান দেওয়া হয়েছে ।
যৌনতা), পুরুষার্থ (সদ্গুণ ও নৈতিক জীবন) ও মোক্ষ (জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্তি, আত্মজ্ঞান) – এগুলির অনুসন্ধানে মানুষকে প্রবুদ্ধ করার জন্য স্তম্ভগুলি খোদাইচিত্র ।
আত্মজ্ঞান লাভের পর ইন্দ্র স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসুরবিজেতা হয়ে উঠলেন ।
এই সকল ধর্মে আত্মজ্ঞান লাভের জন্য গুরুর সাহচর্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয় ।
আত্মজ্ঞান ব্রহ্মজ্ঞানের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ।
এই জ্ঞানকে বলা হয় "আত্মজ্ঞান" ।
মোক্ষ বা মুক্তি লাভের জন্য মানুষকে অবশ্যই আত্মজ্ঞান অর্জন করতে হবে, অদ্বৈতবাদ অনুসারে এই জ্ঞান হচ্ছে এই যে, নিজের সত্যিকারের ।