চতুষ্পাঠী Meaning in Bengali
(বিশেষ্য পদ) বেদ অধ্যয়নের পাঠশালা, পাঠশালা, টোল।
চতুষ্পাঠী এর বাংলা অর্থ
[চোতুশ্পাঠি] (বিশেষ্য) যেখানে সংস্কৃত শাস্ত্রাদি পড়ানো হয়; টোল; চার বেদ বা ব্যাকরণ, কাব্য, স্মৃতি ও দর্শন-এই চার শাস্ত্র বা নানা শাস্ত্র পড়ানো হয় যে বিদ্যালয়ে (প্রথম পাঠ দেওয়া হত চতুষ্পাঠীতে-আনিসুজ্জামান)।
(তৎসম বা সংস্কৃত) চতুঃপাঠী; (বহুব্রীহি সমাস)
এমন আরো কিছু শব্দ
চতুষ্পাদচতুষ্পায়া
চতুষ্পার্শ্ব
চতুস্তল
চতুস্ত্রিংশ
চত্বর
চত্বাল
চত্বারিংশ
চনচন
চনমন
চন্দ
চন্দা
চন্দক
চন্দন
চন্দনা
চতুষ্পাঠী এর ব্যাবহার ও উদাহরণ
রাজশাহীতে তিনি একটি চতুষ্পাঠী প্রতিষ্ঠা করে সকলের প্রশংসা অর্জন করেন ।
ছাত্র ও দেবালয়বহুল প্রাচীন মজিলপুর শহরে শিক্ষার জন্য অনেক চতুষ্পাঠী ছিল এবং সেগুলি জমিদার ও ধনী ব্যক্তিদের বৃত্তি বা নিষ্কর ভূমিস্বত্ব থেকে ।
তিনি নবদ্বীপে একটি চতুষ্পাঠী খুলে কিছুদিন ন্যায়শাস্ত্রে অধ্যাপনা করেন ।
চতুষ্পাঠীর ছাত্রদের খাবার ।
প্রথমদিকে সম্পূর্ণ আবাসিক এই প্রতিষ্ঠানটি 'চতুষ্পাঠী' এবং 'একাডেমি' নামে দুইটি শাখায় বিভক্ত ছিল ।
মুসলমানদের জন্য মক্তব-মাদ্রাসা, হিন্দুদের পাঠশালা-টোল-চতুষ্পাঠী আর বৌদ্ধদের কেয়াং ।
১৮৯৫ সালে তিনি উচ্চতর পড়াশোনার বিকল্প পদ্ধতির প্রথম প্রচেষ্টা, ভাগবত চতুষ্পাঠী, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
প্রতিষ্ঠা করে নবদ্বীপে ফিরে আসেন ও হরি ঘোষ মহাশয়ের সাহায্যে নবদ্বীপে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা শুরু করেন ।
কালীপ্রসন্ন ঘোষ মকতব, চতুষ্পাঠী ও ইংরেজি স্কুলে অধ্যয়ন করেন ।
ত্রিবেনীতে তার টোল বা চতুষ্পাঠী ছিল ।
এছাড়াও বিশ্বনাথ চতুষ্পাঠী এবং মায়ের নামে ব্রহ্মময়ী ভেষজালয় স্থাপন করেছিলেন ।
গঠন করেছিলেন এবং চতুষ্পাঠীর শিক্ষকদের বৃত্তিদান করতেন ।
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার শোভাবাজারের মহারাজা কমলকৃষ্ণ দেবের আনুকূল্যে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা করতে থাকেন ।
জানা গিয়েছে, এই ক্ষীরগ্রামে একটা সময় বেশ কিছু চতুষ্পাঠী ছিল ।
শিক্ষা শেষ করে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার কলকাতার বাগবাজারে একটি চতুষ্পাঠী প্রতিষ্ঠা করেন ।
ভাঙনে তার বসতবাড়ি বিনষ্ট হলে তিনি পাশের গ্রাম ধীপুর গিয়ে সেখানে একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করে আমৃত্যু তাতে শিক্ষাদান করেন ।
সংস্কৃত শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্যে কলকাতার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠা করেন চতুষ্পাঠী ।
১৩০০ বঙ্গাব্দে স্বগ্রামে ‘পুরুষোত্তম চতুষ্পাঠী’ স্থাপনা করেন ।
কাব্য, স্মৃতি ও নব্যান্যায়ে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করে বারাণসীতে এক চতুষ্পাঠী স্থাপন করেছিলেন ।
তার বাড়িতে চতুষ্পাঠী ছিল যেখানে অধ্যয়নের জন্য সারা দেশ থেকে বিভিন্ন প্রদেশের ছাত্রেরা আসতেন ।
১৮৮২ সালে এই কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি নিজগ্রাম হরিনাভিতে চতুষ্পাঠী খুলে অধ্যাপনার দ্বারা বাকি জীবন অতিবাহিত করেন ।
তাঁর চতুষ্পাঠী বনের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় তাঁকে ‘বুনো’ বলা হতো ।
তিনি নবদ্বীপে একটি বনে চতুষ্পাঠী স্থাপন করেছিলেন ।