শ্রমণ Meaning in Bengali
(বিশেষ্য পদ) বৌদ্ধ, ভিক্ষু।
/বিশেষ্য পদ/ স্ত্রীলিঙ্গ. শ্রমণা।
শ্রমণ এর বাংলা অর্থ
[স্রোমোন্] (বিশেষ্য) জৈন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মুণ্ডিতমস্তক গেরুয়া বস্ত্র পরিহিত সন্ন্যাসী; বৌদ্ধ সন্ন্যাসী; ভিক্ষু।
শ্রমণা (স্ত্রীলিঙ্গ)।
(তৎসম বা সংস্কৃত) √শ্রম্+অন(ল্যুট্)
এমন আরো কিছু শব্দ
বিদ্যোৎসাহী হিন্পুন্নাম নরক
শ্রমিক
বিদ্যোপার্জন
শ্রমী মিন্
পুব
পূব
বিদ্রাবণ
শ্রমোপজীবী বিন্
শ্রয়
শ্রয়ণ
বিদ্রুত
পুমান
শ্রাদ্ধ
পুর ১
শ্রমণ এর ব্যাবহার ও উদাহরণ
জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন ।
এটি প্রাচীন কাল পর্যন্ত বৈদিক রীতিনীতির সাথে বর্তমান থাকা প্রাচীন শ্রমণ রীতিনীতি চালু করেছে ।
এ রাজ্য হতে শ্রমণ আন্দোলন, জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব ঘটে ।
ভিক্ষু এবং শ্রমণ উভয়েই কেবলমাত্র সকালে আহার করতে পারতেন এবং বিলাসবহুল ।
অল্পবয়সী বালকদের শ্রমণ হিসেবে অভিষিক্ত করা হত ।
সেখানে অর্থাৎ বার্মায় আর্যপাল শ্রমণ, সঙ্ঘপাল শ্রমণ এবং নন্দপাল শ্রমণ তিনজন একসাথে উপসম্পদা গ্রহণ করেন তবে বনভান্তের শিষ্য হিসেবে ।
১২ বছর বয়সে নালন্দায় আচার্য বোধিভদ্র তাকে শ্রমণ রূপে দীক্ষা দেন এবং তখন থেকে তার নাম হয় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ।
জৈনধর্ম শ্রমণ প্রথা থেকে উদ্গত ধর্মমত ।
গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা চরিতার্থ-করণ এবং তার অঞ্চলে প্রচলিত শ্রমণ আন্দোলনের আদর্শ অনুসারে কঠোর তপস্যার মধ্যে মধ্যপন্থা শিক্ষা দিয়েছিলেন ।
— দ্রব্যসংগ্রহ, ৫০ জৈনধর্মে ঈশ্বর শ্রমণ সীমন্ধর স্বামী জৈনধর্ম ও অ-সৃষ্টিবাদ জৈন দর্শন Sangave 2001, পৃ. 15 ।
অ-বৈদিক শ্রমণ ধর্মমতগুলিও ব্রাহ্মণ্য হিন্দুধর্মের পাশাপাশি প্রচলিত ছিল ।
এই কিংবদন্তিতে শালীবাহান (ভৌজ নামেও পরিচিত) একটি শ্রমণ রাজা ।
নিজের ভরণপোষণের জন্য তিনি শ্রমণ জীবন বেঁচে নেন, কিন্তু কিছুদিন পর তিনি এই জীবন ছেড়ে বার্মা চলে যান ।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর (প্রাক-বুদ্ধ, প্রাক-মহাবীর) আগে ভারতে বেশ কয়েকটি শ্রমণ আন্দোলন বিদ্যমান ছিল বলে জানা যায়, যা ভারতীয় দর্শনে আস্তিক এবং নাস্তিক ।
pe ma bkra shis) নামক শ্রী সিংহ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম প্রধানের নিকট তিনি শ্রমণ ও ভিক্ষুর শপথ গ্রহণ করেন ।
এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে প্রাচীন ভারতে একটি শ্রমণ ঐতিহ্য হিসেবে উৎপত্তিলাভ করে এবং এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ।
রাজেন্দ্রসুরি ত্রিস্তুতিক গচ্ছর শ্রমণ সংঘ পুন:প্রতিষ্ঠা করেন ।
এটি সাধারণত একজন ব্রতী (শ্রমণ) হিসেবে জড়িত হওয়ার প্রারম্ভিক বিন্যাসকে বুঝায় ।
বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম উভয়েই ছিল শ্রমণ প্রথার প্রবহমান ।
হত; যথা – শ্রমণ ধর্ম ও বৈদিক ধর্ম ।
mtsho) নামক তৃতীয় ফুর-ল্চোগ (ওয়াইলি: phur lcog) উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা তাকে শ্রমণ ও ভিক্ষুর শপথ প্রদান করেন ।
উপসম্পদা (পালি) হচ্ছে একজন বৌদ্ধ সন্যাসির প্রব্রজ্যা স্তরের শ্রমণ ভিক্ষুদের (নবীন ভিক্ষু) থেকে একজন পরিণত ও পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুতে রূপান্তরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ।