স্মার্ত এর বাংলা অর্থ

[শাঁর্‌তো] (বিশেষণ) ১ স্মৃতি শাস্ত্রসম্পর্কিত।

২ স্মৃতিশাস্ত্রজ্ঞ।

৩ স্মৃতিশাস্ত্রে উক্ত।

(তৎসম বা সংস্কৃত) √স্মৃ+অ(অণ্‌)

স্মার্ত এর ব্যাবহার ও উদাহরণ

বিশেষত কলিযুগে ধন-সম্পদ দানের মাধ্যমে সদ্গতি বা স্মার্ত সংস্কারের মাধ্যমেও যথার্থ কল্যাণ লাভ হয় না ।

আদি শঙ্কর অদ্বৈত বেদান্ত স্মার্ত সম্প্রদায় হিন্দুশাস্ত্র The authorshop of Shankara of this Bhasya is disputed ।

এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ।

হিন্দুধর্মের প্রতিটি প্রধান সম্প্রদায়ে (শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত ও স্মার্ত) গণেশকে সকল দেবতার আগে পূজা করার নিয়ম আছে ।

বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, স্মার্ত সকল শাখার অনুগামীরাই জগন্নাথকে পূজা করেন ।

খ্রিস্টীয় ৯ম শতাব্দীতে হিন্দুধর্মের অন্যতম শাখা স্মার্ত সম্প্রদায়ের পাঁচ জন প্রধান দেবতার তালিকায় গণেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করা ।

হলেন মধ্ব বৈষ্ণব এবং মধ্বাচার্যের অনুগামী, অপরদিকে অন্যান্য সারস্বতরা স্মার্ত এবং শঙ্করাচার্যের অনুগামী৷ তারা অধাকাংশই নিরামষাশী৷ কোঙ্কণ অঞ্চলের সরস্বত ।

পুরাণটিকে নানারূপে শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত ও স্মার্ত ধর্মগ্রন্থের শ্রেণিভুক্ত করা হয় ।

এই পাঁচটি উপনিষদ্ হিন্দুধর্মের স্মার্ত সম্প্রদায়ের প্রধান পাঁচ দেবতার (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও জয়দুর্গা) ।

(গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতক) বৈষ্ণব - ৫৮ কোটি শৈব - ২২ কোটি শাক্ত/স্মার্ত/আর্য সমাজ ও অন্যান্য হিন্দু বিশ্বাস - ১৫ কোটি চীনা লোকধর্ম - ৩৯ কোটি ৪০ ।

চৈতন্যের সময়ে বাসুদেব সার্বভৌম, রঘুনাথ শিরোমণি, স্মার্ত রঘুনন্দন প্রমুখ এবং পরবর্তীতে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, বুনো রামনাথ প্রমুখের ।

ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত তথা নব্যস্মৃতির স্রষ্টা রঘুনন্দন দীপান্বিতা অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজার ।

উল্লেখ্য, স্বামীনারায়ণ মতবাদ বৈষ্ণবদের মধ্যে সংখ্যালঘু হলেও সমসাময়িক স্মার্ত মতানুসারী হিন্দুধর্মে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি মত ।

আমলাতান্ত্রিক সম্প্রদায়ভিত্তিক নথি "কৈফিয়ৎ" অনুসারে পঞ্চগৌড় ব্রাহ্মণরা সাধারণত স্মার্ত, বৈষ্ণব কিমবা ভাগবতের অনুসারী হয়ে থাকেন৷ James G. Lochtefeld (২০০২) ।

'আদি নারায়ণের' সিদ্ধান্ত, শাক্ত সম্প্রদায়ের 'আদি পরাশক্তি'র সিদ্ধান্ত, স্মার্ত সম্প্রদায়ের 'নির্গুণ ব্রহ্ম/পরব্রহ্ম' সিদ্ধান্তের ন্যায় ।

হিন্দুধর্মের চারটি প্রধান সম্প্রদায়ের একটি (অপরগুলি হল শাক্ত, বৈষ্ণব এবং স্মার্ত সম্প্রদায়) ।

খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকে স্মার্ত পণ্ডিত রঘুনন্দন ও রাঘবানন্দ যৌথভাবে প্রথম বাংলা পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন ।

এই জাতীয় পাথর হিন্দু শৈব ও স্মার্ত সম্প্রদায় শিবলিঙ্গ হিসেবে পূজা করে ।

কারণ, অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের "নিবন্ধ" (স্মার্ত) লেখকগোষ্ঠী এটিকে শাক্তধর্মের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলে উল্লেখ করেছেন ।

পঞ্চদেবতা পূজা বা পঞ্চায়তন পূজা হল হিন্দুধর্মের স্মার্ত সম্প্রদায়ের একটি পূজার পদ্ধতি ।