যুক্তিহীন এর বাংলা ব্যাবহার ও উদাহরণ

এসময়ের একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল সংযুক্তিহীন একক ভূগোলক নির্মাণ।

পাঁচ শতাব্দিতে রোম সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে পাশ্চত্য দেশ গুলোতে দর্শন চর্চা আশ্রয় গ্রহণ করে যুক্তিহীন চার্চীয় ধর্মের কাছে।

প্রথম সংজ্ঞাকে দ্বিতীয়টির আগে প্রাধান্য দেবার কারণ যুক্তিহীন নয়, এটি জোড় ও বিজোড় সংখ্যা নির্বাহে বীজগাণিতিক নিয়ম অধীনে গৃহীত হয়।

রোমান্টিকতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল যুক্তিহীনতা, কল্পনা, স্বতঃস্ফূর্ততা, আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং লৌকিকতা বহির্ভূত স্বজ্ঞা।

এই বাতিকের কারণ হতে পারে কামবৃত্তি, যুক্তিহীন তাড়না ও মানসিক বাধ্যবাধকতা থেকে।

বোভোয়ার মনে করেন, নারী উচ্চতর না নিম্নতর তা নির্ধারণ করা যুক্তিহীন কিন্তু পুরুষের অবস্থা “অসীমভাবে পছন্দনীয়”।

তিনি পরে বৃহত্তর নয়ডার গ্রামের একটি মসজিদের অবৈধ প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার দ্বারা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলে তা যুক্তিহীন ভিত্তিতে করা হয় বলে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হয়।

শুরুর দিকের প্রিন্সেস প্রযোজনাগুলো যুক্তিহীনভাবে লেখা দুর্বল দৃশ্যপট অথবা অচিত্তাকর্ষক বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরী হত।

শ্রীচৈতন্য অনুগামী বাংলার বৈষ্ণবগণ নিজেদেরকে ‘’’মধ্ব-গৌড়ীয়’’’ সম্প্রদায় বলে পরিচয় প্রদান করেন ৷ যদিও তাদের এই পরিচয় যুক্তিহীন।

মানুষের স্বাভাবিক আচরণ হলো প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি কর্ম এমন কি প্রতিটি স্বভাব একটি জানার ইচ্ছে নিয়ে পরীক্ষা করা, এবং কখনোই গোলামির মতো যুক্তিহীন কিছুর আগে নিজেকে আত্মসমর্পণ না করা।

চলচ্চিত্রের শেষে, আলভি এটিকে মেনে নেয় এবং সিদ্ধান্তে পৌছায় যে ভালোবাসা হলো, "যুক্তিহীন এবং পাগলামী এবং হাস্যকর" কিন্তু এটি জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়।

শব্দটি ফ্রেডরিখ হায়েকের মতো সমাজবিজ্ঞানী, কার্ল পপারের মতো বিজ্ঞানের দার্শনিক এবং হিলারি পুতনাম ও জেতান টডোরভের মতো দার্শনিকগণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলির যুক্তিহীন প্রয়োগ এবং সমস্ত জ্ঞানকে পরিমাপ বা নিশ্চিতকরণযোগ্যতার মাপকাঠিতে বিচার করার ঘটনা বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছেন।

বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল তাঁর প্রবন্ধ সংগ্রহে ভাবেকে যুক্তিহীনতা ও অতিরিক্ত গান্ধীজীকে অনুকরণের জন্য সমাচলোচনা করেছেন।