সগুণ Meaning in English
/adjective/ possessed of attributes or virtues; having three primordial qualities; qualified; stringed ( as a bow ).
সগুণ এর ইংরেজি অর্থ
(adjective)
(1) having qualities/ attributes/ properties; having good qualities/ virtues; virtuous.
(2) possessing three primary qualities (ieসত্ত্ব, রজঃ and তম); worldly.
(3) furnished with a string/ cord.
এমন আরো কিছু শব্দ
সগোত্রসগৌরবে
সঘন
সঘর
সঙ
সং
সঙিন
সঙীন
সঙ্কট
সঙ্কটোত্তীর্ণ
সঙ্কর
সঙ্করীকরণ
সঙ্কর্ষণ
সঙ্কলক
সঙ্কলন
সগুণ এর বাংলা ব্যাবহার ও উদাহরণ
সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণরহিত ও নিরাকার), ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ মতে গণেশ "সগুণ" (সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণাত্মক ও সাকার), মুদ্গলপুরাণে গণেশকে বলা হয়েছে।
সাহায্য করার জন্য সগুণ ব্রহ্মের কল্পনা করা হয়।
অবশ্য হিন্দু দর্শনশাস্ত্রগুলো এ'কথাও বলে দেয় যে, সগুণ ব্রহ্ম প্রকৃতপক্ষে ভ্রমাত্মক।
সগুণ ব্রহ্মের বিভিন্ন।
স্মার্তরা এই পঞ্চদেবতাকে পৃথক দেবতা হিসেবে না দেখে একই সগুণ ব্রহ্মের পাঁচটি রূপভেদ মনে করেন।
এই সম্প্রদায়ের অনুগামীরা গণেশকে সগুণ ব্রহ্ম রূপে পূজা করে।
অর্থাৎ, বেদান্ত দর্শনে যে ঈশ্বর (সগুণ ব্রহ্ম) ও ব্রহ্মের (নির্গুণ) কথা বলা হয়েছে এবং ব্রহ্মই সত্য, জগত মিথ্যা।
কেন উপনিষদ ব্রহ্ম অর্থাৎ ব্রহ্মনের সগুণ ও নির্গুণ স্বরূপের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষনের কারণে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শিব ও তাঁকে একত্রে শাক্ত সর্বোচ্চ ঈশ্বর আদি পরাশক্তির "সগুণ স্বরূপ" মনে করা হয়।
ঈশ্বরকে সগুণ ব্রহ্ম বা সাকার ব্রহ্ম বলা হয়।
ধারণাটিকে অস্বীকার না করেও বিশেষভাবে এক ব্যক্তি ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর বা সগুণ ঈশ্বরের ধারণাটিকে অস্বীকার করেছে।
সনাতন ধর্মে ঈ-কারের সৃষ্টি ও শব্দোচ্চারণ-কে উল্লেখ করা হয়েছে ঈশ্বরী বা সগুণ ও নিগুর্ণ ব্রহ্মকে উপলদ্ধি করার জন্য।
সগুণ ব্রহ্মের সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশরূপ তিনগুণের যুগপৎ প্রকাশ যেমন কালীরূপের বৈশিষ্ট্য, তাঁর ধারণী ও পোষণী গুণের যুগপৎ।
তিনি এবং ব্রহ্ম, শিব, শক্র, কাল, সগুণ, নির্গুণ, অন্তস্থ, বহিঃস্থ, সকল ব্রহ্মাণ্ড, অতীয় ও ভবিষ্যৎ সকলই এক।
ব্রহ্মাণ্ডের সকল কিছুর উৎস, সকল কিছুর চিরন্তন সমাপ্তি ‘নির্গুণ’ (নিরাকার) ও ‘সগুণ’ (সাকার), সর্বোচ্চ অপরিবর্তনীয় সত্য (পুরুষ), বিশিষ্ট পরিবর্তনশীল সত্য (প্রকৃতি)।
সগুণ রূপে, শক্তি ছাড়া শিবের কোনো অস্তিত্ব নেই, আবার শিব ছাড়া শক্তির কোনো অস্তিত্ব।
টমাস বি. কোবার্নের মতে, ২য় ও ৩য় শ্লোকে দেবী তার ‘নির্গুণ’ (নিরাকার) ও ‘সগুণ’ (সাকার), ‘সৎ’ (সত্য সত্ত্বা), ‘চিৎ’ (চৈতন্য) ও ‘আনন্দ’ রূপ ব্যাখ্যা করছেন।
এই ছকে তিনি শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধাকে নির্গুণ ব্রহ্ম ও সগুণ ব্রহ্মের মধ্যবর্তী ক্রান্তিকালে রাখেন যেটিকে তিনি বলেন নিত্য বা ভবলোক।
ভক্তিবাদীদের সঙ্গে সন্তদের প্রধান পার্থক্য এই যে ভক্তিবাদীদের মতো তাঁরা ঈশ্বরকে "সগুণ" (সাকার) নয়, বরং "নির্গুণ" (নিরাকার) মনে করতেন।