দো Meaning in Bengali
(বিশেষ্য পদ) দুই।
দো এর বাংলা অর্থ
[দো] (বিশেষণ) দুইয়ের সংক্ষিপ্ত রূপ।
দো-আনি ⇒ = দু।
দোআব ⇒ দোয়াব।
দোআঁশ (বিশেষণ) এঁটেল ও বেলেমাটি মিশ্রিত (দোঁআশ মাটিতে ফসল ভালো হয়)।
দোআঁশলা, দোআঁসলা (বিশেষণ) ১ বর্ণসংকর; ভিন্ন ভিন্ন জাতের পিতামাতার সংযাগজাত (দোঁআসলা কুকুরের ল্যাজের মত-প্রথম চৌধুরী )।
২ দুই প্রকার পদার্থের মিশ্রণের ফলে জাত (নিজের মতামত ও দোআঁশলা বাংলায় ব্যক্ত করিতেছে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
৩ এঁটেল ও বেলেমাটি মিশ্রণে উৎপন্ন; দোআঁশ।
দোকর (বিশেষণ) দুইবার; ডবল; প্রতিলিপি (এ মামলায় প্রজার শুধু দোকর দণ্ড দিতে হয়-প্রথম চৌধুরী )।
□ (অব্যয়) (ক্রিয়াবিশেষণ) পুনর্বার; আবার (দোকর করিবে কাজ বানাই তাহার-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর)।
দোকলা, দোকা (বিশেষণ) দুই জন; এক সঙ্গে দুই জন।
□ (ক্রিয়াবিশেষণ) দুজনে।
□ (বিশেষ্য) দ্বিতীয় জন।
দোকাতারি (বিশেষণ) দুই সারি (দোকাতারি আসাবরদার চোপদার-রামরাম বসু)।
দোগজা (বিশেষ্য) ইংরেজ আমলের পূর্বে বাঙালি মেয়েদের ব্যবহৃত ওড়নাবিশেষ।
দোচালা, দুচালা (বিশেষণ) ১ দুইচাল আছে যাহাতে এমন।
□ (বিশেষ্য) দুই চালবিশিষ্ট ঘর।
দোচোখা (ক্রিয়াবিশেষণ) নির্বিচারে; দুই চোখে যাহাকে দেখা যায় তাহাকেই (বহি ছাপাইয়া দোচোখা বিতরণ করিতেছে-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)।
দোছটি, দোছুটি, দোচ্ছুট, দোছোট (বিশেষ্য) ১ উত্তরীয়; উড়ানি (বিমলা বলিলেন দোছোট লও-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
২ দুই বেড় (দোছুটি করিয়া পরে বার হাত সাড়ী-কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
দোছতরি (বিশেষ্য) ঘরের ভিতর ছাদের নিম্নস্থ গলি-পথের ছাদ।
দোজবর, দোবজবরে (বিশেষ্য) (বিশেষণ) যে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছে বা করে এমন।
দোজমি (বিশেষ্য) ১ যে জমিতে বৎসরে দুইবার ফসল হয়।
২ দো-আঁসলা জমি।
দোটানা, দুটানা (বিশেষ্য) ১ (বিশেষ্য) পরস্পর বিপরীতধর্মী দুই পক্ষ, দিক বা বস্তুর প্রতি আকর্ষণ (আমরা দোটানার ভিতর পড়েছি-প্রথম চৌধুরী)।
২ দ্বিধা।
দোতরফা, দুতরফা (বিশেষণ) ১ উভয় পক্ষীয়; উভয় পক্ষ সম্বন্ধীয়।
২ উভয় পক্ষই অংশগ্রহণ করেছে বা উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে এমন (দোতরফি শালিসে বাদসাহ ক্রোধান্বিত হইয়া-রামরাম বসু)।
দোতলা, দুতলা (বিশেষণ) ১ দুই তল বা স্তরযুক্ত (দোতলা বাড়ি)।
২ এক তলার উপরস্থ দ্বিতীয়তল বা স্তর; দ্বিতলের ঘর।
দোতারা, দুতারা (বিশেষ্য) ১ দুই তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্রবিশেষ (বাজে রবার মৃদঙ্গ দোতারা-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর)।
দোথরি (বিশেষণ) দুই স্তরযুক্ত; দুই থাকযুক্ত (দোথরি দোলনা)।
দোদমা (বিশেষণ) দুই বার আওয়াজ করে এমন (বোমা দোদমা দেদার কাটে-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
দোদুল (বিশেষণ) দুলছে বা দোলায়মান এমন।
দোদুল্যমান (বিশেষণ) অনবরত দোলে বা দুলছে এমন।
দোদেল (বিশেষণ) দুই মনা; কপট (দোদেল বান্দা-মীর মশাররফ হোসেন)।
দোধারি, দুধারি (বিশেষণ) ১ দুই ধারে অবস্থিত; উভয় পার্শ্বস্থ।
২ উভয় পার্শ্বে ধার আছে এমন; উভয় প্রান্ত ধারালো এমন (আলোয় তোমার উঠল নেচে দুধারী তলোয়ার-কাজী নজরুল ইসলাম)।
দোনলা, দোনালা, দুনলা, দুনালা (বিশেষণ) দুটি নল বা চোঙবিশিষ্ট (দোনলা বন্দুক)।
□ (বিশেষ্য) দুই নলবিশিষ্ট বন্দুক।
দোপড়া (বিশেষণ) ১ বিবাহ স্থির হবার পর কোনো কারণে বিবাহের সম্বন্ধ ভেঙে গেছে এমন (দোপড়া হলে কি আর ও মেয়ের বিয়ে হবে-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)।
২ পুনর্বার বিবাহিতা।
দোপাট্টা (বিশেষ্য) উত্তরীয়; উড়ানি; চাদর (আর পাজামা ও দোপাট্টার (চাদরের) ভারে বেচারী বধূ ক্লান্ত-বেগম রোকেয়া; পুরান দোপাটা গায় দিতে টানাটানি-কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
□ (বিশেষণ) ১ লম্বালম্বিভাবে জোড়া দেওয়া দুই খণ্ড বস্ত্রযুক্ত (দোপাট্টা চাদর)।
২ দুই স্তরে বিন্যস্ত (দোপাট্টা দাড়ি)।
দোপাল্লি, দোপাল্লা (বিশেষণ) দুই পাল্লাযুক্ত (মাথায় দোপাল্লি টুপি-মঈন)।
দোপেয়ে, দুপেয়ে (বিশেষণ) দুইটি পদ বা পায়া আছে এমন; দ্বিপদ (মানুষ দুপেয়ে জীব)।
□ (বিশেষ্য) ((আলঙ্কারিক)) মানুষ।
দোফলা, দুফলা (বিশেষণ) ১ দুইটি ফলক আছে এমন (দোফলা ছুরি)।
২ বৎসরে দুইবার ফল দেয় এমন (দোফলা গাছ)।
দোফসলি (বিশেষণ) বৎসরে দুইবার ফসল জন্মে এমন (দো-ফসলি জমি)।
দোফাঁকড়া, দোফ্যাকড়া, দোফরকা (বিশেষণ) দুইটি ডালা বা শিখায় বিভক্ত।
দোফাল, দোফালি, দুফাল, দুফালি (বিশেষ্য) ১ দুইখণ্ড।
□ (বিশেষণ) দুইখণ্ডে বা ফালিতে বিভক্ত।
দোভাপা, দুভাপা (বিশেষণ) দুইবার সিদ্ধ করা বা ভাপ দেওয়া (দোভাপা চাল)।
দোভাষী, দুভাষী (বিশেষণ) ১ দুইটি ভাষায় অভিজ্ঞ (দোভাষী পণ্ডিত)।
২ অধিক আরবি ফারসি শব্দ মিশ্রিত বাংলা ভাষায় রচিত (দোভাষী পুথি)।
□ (বিশেষ্য) একের ভাষা অন্যকে বুঝিয়ে দেন যিনি; ভাষানুবাদকারী ব্যক্তি; interpreter।
দোমনা ⇒ দুমনা।
দোমহলা (বিশেষণ) ১ দুই মহলবিশিষ্ট (দোমহলা বাড়ি)।
□ (বিশেষ্য) দোতলা বাড়ি (ঘাটের উপরে অপূর্ব বিরাজের স্থল দোমহলা-রামরাম বসু)।
দোমুখো ⇒ দু।
দোমেটে ⇒ দুমেটে।
দোয়জ, দোয়জি, দোয়াজ, দোয়ানি ⇒ দু-।
দোরসা (বিশেষণ) ১ অল্প বা অর্ধপচা (দোরসা মাছ)।
২ দোআঁশ; অল্পরসযুক্ত (দোরসা মাটি)।
দোশাল, দোশালা (বিশেষ্য) শালের জোড়া; দুই ফর্দ শাল; মূল্যবান গাত্রবস্ত্র (ঘোষেরে দোসালা দিল সরবন্ধ জোড়া-ঘনরাম চক্রবর্তী)।
দোসারি (বিশেষ্য) ১ দুই পঙ্ক্তি; দুই থাক বা শ্রেণি।
দোসালা (বিশেষণ) দ্বিবার্ষিক।
□ (বিশেষ্য) দুই বৎসরের জন্য বন্দোবস্ত বা ইজারা।
দোসুতি, দোসূতী ⇒ দুসুতি।
দোহাতিয়া, দোহাথিয়া, দোহাত্তা ⇒ দুহাতিয়া।
(তৎসম বা সংস্কৃত) দ্বি
এমন আরো কিছু শব্দ
দুওদুঃ
দুঃখ
দুখ
দুক্ষু
দুঁদিয়া
দুঁদে
দুঁহ
দুঁহা
দুঁহুঁ
দুঁহু
দুহু
দোঁহা ব্রজবুলি
দুকুরে
দুকুল
দো এর ব্যাবহার ও উদাহরণ
রণক্ষেত্র পুই দো দোম ফরাসি পলিনেশিয়া-র বোরা-বোরা দ্বীপ গুয়াদলুপ মার্তিনিক (সৈকত) নুভেল কালেদোনি নিস-এর পোতাশ্রয় কার্কাসন ও এর প্রাচীর নোত্র্-দাম দো ফুর্ভিয়ের ।
গানটির কথা দিয়েছেন আলদা নেভেস দা গ্রাসা দো ইস্পিরিত সান্তো এবং সুর দিয়েছেন মানুয়েল দোস সান্তোস বাহেতো দে সোউসা এ আমেইদা ।
পরবর্তীতে মেরে জীবন সাথী, দো চোর এবং এক বার মুসকরা দো (১৯৭২) ছবিতেও তিনি অভিনয় করেন ।
ফুতেবল ক্লুবে দো পোর্তু (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [futɨˈβɔl ˈkluβ(ɨ) ðu ˈpoɾtu], ইংরেজি: FC Porto; এছাড়াও এফসি পোর্তু নামে পরিচিত) হচ্ছে পোর্তু ভিত্তিক একটি ।
ঘরোয়া ফুটবলে কাম্পেওনাতো ব্রাসিলেইরা সেরি আ, কোপা দো ব্রাসিল দে ফুতেবল ফেমেনিনো, কোপা দো ব্রাসিল এবং কোপা দো নর্দেস্তের মতো প্রতিযোগিতার সকল কার্যক্রম পরিচালনা ।
প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাতীয় জাদুঘর পার্ক দো লা ভিলেত (Parc de la Villette): এখানে সিতে দে সিয়ঁস এ দেজাঁদুস্ত্রি ছাড়াও সিতে দো লা মুজিক (Cité de la Musique) রয়েছে ।
তেরে মস্ত্ মস্ত্ দো নয়েন (হিন্দি: तेरे मस्त् मस्त् दो नयन) সালমান খান ও সোনাক্ষী সিংহ অভিনীত এবং অভিনব কাশ্যপ পরিচালিত বলিউড চলচ্চিত্র দাবাং এর একটি ।
শাহ দো শামশিরা মসজিদ (পশতু: شاه دوشمشېره جومات; এই নামটি দুটি তলোয়ারের মসজিদ অনুবাদ করা হয়েছে) আফগানিস্তানের কাবুলের হলুদ রঙের দ্বিতল মসজিদ (জেলা ২) ।
উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link) ওপেনস্ট্রিটম্যাপে এস্তাদিও দো মারাকানা সম্পর্কিত ভৌগলিক উপাত্ত ।
চান কাক দো একটি কোরিয়ান-ভিত্তিক, আমেরিকান সংকর মার্শাল আর্ট ।
রাফায়েল আলকান্তারা দো নাসিমেন্তো (জন্মঃ১২ মার্চ ১৯৯৩) যিনি রাফিনিয়া নামে পরিচিত, একজন পেশাদার ফুটবলার যিনি স্পেনের লা লিগার দল বার্সেলোনা এবং ব্রাজিল ।
ইস্তোয়ার দো (বাংলা: ও-এর গল্প, আধ্বব: [istwaʁ do]) ১৯৭৫ সালের ফরাসি-জার্মান ইরোটিক নাট্য চলচ্চিত্র ।
লহু কে দো রঙ (হিন্দি: लहू के दो रंग, অনুবাদ 'রক্তের দুই রঙ') হচ্ছে ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র ।
জিৎ কুন দো (截拳道; জিৎ কান দো, জেকেডি, বা জিৎ কিউন দো) হল একটি মিশ্র মার্শাল আর্ট সিস্টেম এবং জীবন দর্শন সরাসরি, অ শাস্ত্রীয় এবং সহজবোধ্য আন্দোলন সঙ্গে ।