বিকর্ষণ Meaning in Bengali
(বিশেষ্য পদ) আকর্ষণের বিপরীত বা উল্টা টান, বিপরীত আকর্ষণ, ঠেলে দেওয়া।
বিকর্ষণ এর বাংলা অর্থ
[বিকর্শন্] (বিশেষ্য) ১ উল্টা টান; বিরাগ (আকর্ষণ বিকর্ষণ পুরুষ প্রকৃতি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
২ আকর্ষণের বিপরীত; টানের বিপরীত; বিপ্রকর্ষণ; repulsion।
(তৎসম বা সংস্কৃত) বি+কর্ষণ
এমন আরো কিছু শব্দ
শিরা ১শিরা ২
শিরাজ
সিরাজ
শিরাজি
সিরাজি
শিরান
শিরানা
শিরালি
শিরালী
শিরি মধ্যযুগীয় বাংলা
শিরিন
শিরীন
বিকল
বেকল
বিকর্ষণ এর ব্যাবহার ও উদাহরণ
এমনভাবে বিস্তার লাভ করতে হবে যেন ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটনের মধ্যবর্তী তড়িৎ বিকর্ষণ বল কম হয় ।
"অর্থ" বা "ধাক্কা", যখন ফার্সি ভাষায় শব্দটির আরও সুস্পষ্ট উৎস, এর অর্থ বিকর্ষণ ।
স্ট্যাটকুলম্ব তড়িৎ আধানকে q দ্বারা প্রকাশ করলে - স্থির তাড়িতিক আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল (F)=(1/4πε)q1•q2/r² [যেখানে কুলম্বের ধ্রুবক K = 1/4πε, ε = তড়িৎ ভেদ্যতা(permittivity) ।
প্রোটনের পারস্পরিক তড়িচ্চুম্বকত্ব বিকর্ষণ সত্ত্বেও কীভাবে পারমাণবিক নিউক্লিয়াস আবদ্ধ ছিল তা বোঝাতে একটি সবল আকর্ষণীয় ।
যখন স্বর্ণ নিউক্লিয়াসের অতি নিকটে আসে, তখন তারা পরস্পরকে প্রচন্ড ভাবে বিকর্ষণ করে, এটিও সংঘর্ষ ।
ফলে দুইটি বলরেখার মধ্যে বিকর্ষণ ঘটে ।
বিকর্ষণের ফলে দুটি কায়জমাটার মধ্যবর্তী অংশে লুপের সৃষ্টি ।
তবে সাধারণত দুটি ক্রমোসোমের সেন্টোমিয়ারদ্বয়ের মধ্যেই প্রথম এবং ব্যাপক বিকর্ষণ সৃষ্টি হয় ।
তড়িচ্চুম্বকীয় বল, দুটি আহিত বা চার্জিত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে ।
যে বলের জন্য ইলেকট্রনের মতো দুটি মৌলিক কনা পরস্পরকে বিকর্ষণ করে অথবা একটি ইলেকট্রন ও একটি প্রোটন পরস্পরকে আকর্ষণ করে, তাকে তড়িৎবল ।
তারে বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরস্পরের বিপরীত দিকে হয়, তাহলে তারদুটি পরস্পরকে বিকর্ষণ করবে ।
দুটি চৌম্বক মেরুর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলও তাড়িতচৌম্বক বল ।
চারিদিকে যতদূর পর্যন্ত আধানটির বলের প্রভাব (আকর্ষণ জনিতও হতে পারে, আবার বিকর্ষণ জনিতও হতে পারে) বিস্তৃত থাকে, সেই অঞ্চলকে বোঝায় ।
এই আকর্ষণ বা বিকর্ষণ জনিত বল লাউড স্পিকার এর উপরে থাকা পর্দার উপরে ক্রিয়াশীল হয় ।
সেই চুম্বকীয় বলের সাহায্যে লাউড স্পিকারের চুম্বক আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে ।
সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে ।
তার চারপাশের ফেরোচৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে এবং অন্য চুম্বককে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে ।
ডায়াচুম্বকত্ব প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৭৭৮ সালে যখন অ্যান্টন ব্রুগম্যানস চৌম্বক ক্ষেত্রে বিসমাথের বিকর্ষণ লক্ষ করেন ।
এর অভ্যন্তর থেকেই বিকর্ষণ করে ।
একই ধরনের চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে দুইটি বিন্দু চার্জের মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল চার্জ দুইটির পরিমাণের ।
পদার্থবিজ্ঞানে চুম্বকত্ব বলতে এক পদার্থ কর্তৃক অন্য কোন পদার্থকে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করার ঘটনাকে বোঝায় ।
যদি এই বিকর্ষণ বলের মান 1 ডাইন হয় তাহলে বস্তুদুটির আধানের পরিমাণ 1 ই ।
পরস্পর থেকে 1 সেমি দূরত্বে রাখা হয় তবে বস্তুদুটির মধ্যে বিকর্ষণ বল ক্রিয়া করবে ।
উভয়েই ধনাত্মক আধান যুক্ত হওয়ায় নিউক্লিয়াসদ্বয়ের মধ্যে শক্তিশালী বিকর্ষণ বল ক্রিয়াশীল থাকে, যা অতিক্রম করা যায় কেবলযদি অষ্টিকাদ্বয়ের গতিশক্তি ।