গ্যালভানি এর বাংলা ব্যাবহার ও উদাহরণ

গ্যালভানিক ক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে লুইজি গ্যালভানি'র সাথে মতপার্থক্যের কারণে আলেসান্দ্রো ভোল্টা ১৮০০ খ্রীস্টাব্দে আধুনিক ব্যাটারীর প্রাচীন সংস্করণ ভোল্টার স্তুপ তৈরি করেন।

ভূগোল গ্যালভানিক কোষ যা লুইজি গ্যালভানির নামানুসারে গঠিত হয়েছে, তা দুটি আলাদা ধাতুর তৈরি তড়িতদ্বারকে একটি লবণ সেতু বা দুটি আলাদা অর্ধকোষকে একটি পোরোয়াস ডিস্কের সংযোগে তৈরি করা হয়।

১৭৮০ সালে লুইজি গ্যালভানি আবিষ্কার করেন যে, দুটি ভিন্ন ধাতু যেমন: তামা ও দস্তাকে একসাথে যুক্ত করে একটি ব্যাঙের একটি স্নায়ুর আলাদা অংশে যুক্ত করলে পা দুটি দুলে ওঠে।

১৮০০ সালের দিকে আলেসান্দ্রো ভোল্টার তৈরি ভোল্টায়িক পাইল গ্যালভানিক কোষের অনুরূপ।

একটি গ্যালভানিক কোষে দুটি অর্ধকোষ থাকে।

সংজ্ঞানুযায়ী অ্যানোড হল সেই ইলেকট্রোড যেখানে জারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়, অর্থাত গ্যালভানিক কোষে জিঙ্ক ইলেকট্রোড একটি অ্যানোড।

গ্যালভানিক কোষের ইলেকট্রিক পটেনশিয়াল ।

গ্যালভানিক ক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে লুইজি গ্যালভানি'র সাথে মতপার্থক্যের কারণে আলেসান্দ্রো ভোল্টা ১৮০০ খ্রীস্টাব্দে আধুনিক ব্যাটারীর প্রাচীন সংস্করণ ভোল্টার স্তুপ তৈরি করেন।

নিজের কার্যক্রমের ফলাফল বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় ভাল্লি লুইগি গ্যালভানির মত অনুসরণ করে বিশ্বাস করে বসেন যে প্রানিজ বিদ্যুৎ (অথবা গ্যালভানিক বিদ্যুৎ) ধাতব-ধাতব বিদ্যুৎ (অথবা ভোল্টায়িক বিদ্যুৎ) থেকে ভিন্ন এমনকি দ্বিতীয় ধরনের বিদ্যুতের অস্তিত্বও স্বীকার করেননি।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইতালিয়ান চিকিৎসক এবং শারীরবৃত্তীয় লুইজি গ্যালভানি তার রচনায় রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া এবং বিদ্যুতের মধ্যে একটি সেতু স্থাপন করে বৈদ্যুতিনবিদ্যার জন্ম চিহ্নিত করেছিলেন।

গ্যালভানি তার প্রবন্ধে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, প্রাণীর টিস্যুতে এখানে আগত অবহেলিত সহজাত যার কিনা প্রাণশক্তি রয়েছে, একে তিনি "পশুর বিদ্যুৎ" বলে অভিহিত করেছেন, স্নায়ু এর এবং পেশী দ্বারা বিস্তৃত ধাতু।

গ্যালভানির বৈজ্ঞানিক সহকর্মীরা তার মতামত গ্রহণ করেছিলেন, তবে আলেসান্দ্রো ভোল্টা "পশুর বৈদ্যুতিক তরল" এর ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, "এর জবাবে ব্যাঙের পা বিকৃত ধাতব টুকরা, রচনা এবং আয়তনের পার্থক্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

" গ্যালভানি একই উপাদানের দুটি টুকরা দিয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া পেয়েও এটিকে অস্বীকার করেছিলেন।